কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) বৃহস্পতিবার এক বিশেষ অধিবেশনে তীব্র রাজনৈতিক নাটকীয়তা দেখা দিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরাসরি ‘চোর’ বলে আক্রমণ করেন। পাশাপাশি বিজেপিকে তিনি ‘ভোট চোরের দল’ বলে কটাক্ষ করেন।
বাঙালি হেনস্থার প্রসঙ্গ তুলেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “এভাবেই বিজেপি নেতা নিজ নিজ নেতাকে চোর বলছেন। অথচ তাঁদের লজ্জা নেই।” মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে বিধানসভায় তীব্র হট্টগোল শুরু হয়। বিজেপি বিধায়করা একযোগে প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন, স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্পিকার বারবার শান্ত হওয়ার অনুরোধ করলেও ক্ষোভ দমেনি।
আরও পড়ুন: আইনি পরামর্শ নিচ্ছি, ‘চাকরিহারা’দের পাশে রাজ্য
অশান্তির মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী আরও তীব্র সুরে বলেন, “মোদি চোর, শাহ চোর, বিজেপি চোর, ভোট চোরের দল। বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও।” তাঁর এই স্লোগানে তৃণমূল বিধায়করা হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান। অন্যদিকে বিজেপি শিবিরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য অসংসদীয় ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী।
রাজনৈতিক মহলে মুখ্যমন্ত্রীর এই সরাসরি আক্রমণকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে ঘিরে তৃণমূলের আক্রমণাত্মক অবস্থান আরও স্পষ্ট হল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিরোধী দলকে চাপে রাখতেই মমতার এই তীব্র শব্দচয়ন।
রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে উত্তপ্ত। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষে বিজেপি বিধায়করা ক্ষুব্ধ হলেও তৃণমূল শিবিরে প্রবল আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠছে। ফলে আগামী দিনে বিধানসভা ও রাজ্য রাজনীতির অঙ্গনে আরও সংঘাত যে বাড়বে, তা স্পষ্ট।
দেখুন আরও খবর: